ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮/০৪/২০২৪ ৯:১৯ এএম
ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৬৬৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই সহায়তা দেবে সংস্থাটি।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা উন্নয়নে প্রকল্পের মোট ব্যয় এক হাজার ১২৩ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পের শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষা ও মনোসামাজিক সহায়তা দেওয়া হবে। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের অনুমোদনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৩০০টি শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও বিদ্যমান তিন হাজার লার্নিং সেন্টার সংস্কার করা হবে।

প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য

কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ধরে রাখা, শিক্ষার উন্নতির জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান ও মিড ডে মিল পাইলটিং করা, বিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে নির্বাচিত বিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণ এবং আসবাব সরবরাহের মাধ্যমে উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং মনঃসামাজিক সহায়তা প্রদান।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার এক হাজার ৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় হাজার ২৯৭ জন শিক্ষক এবং দুই লাখ ১৫ হাজার ৪১৩ জন ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবে। বিভিন্ন পটভূমির শিশুদের একত্রে বিদ্যালয়ে আনার ফলে তা এই এলাকাগুলোর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাজায় রাখার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।

প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা

দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন লাখ ২৬ হাজার শিশু বিভিন্ন সংমিশ্রণে (ফার্টফায়েড বিস্কুট, কলা, মৌসুমি ফল, বান, ডিম, ইউএইচটি দুধ) খাবার গ্রহণের সুযোগ পাবে। এক হাজার ৯৪টি বিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও আকর্ষণীয় করার জন্য নির্বাচিত বিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণ এবং আসবাব সরবরাহের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এছাড়া এক হাজার ৯৪টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা, হাইজিন পণ্য সরবরাহ, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এবং শিশুদের উচ্চতা ও দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা-জেলা শিক্ষা অফিসের জন্য আইটি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সরঞ্জাম প্রদান, নির্বাচিত ৫০টি স্কুলে ‘স্মার্ট স্কুল’ বিষয়ক পাইলটিং সফটওয়্যার প্রণয়ন, কারিগরি প্রশিক্ষণ, স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট এবং শিক্ষকদের উপস্থিতির জন্য সরঞ্জাম প্রদান। উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় বিভিন্ন পর্যায়ে এক হাজার ৯৪টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, এসএমসি সভাপতি, উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্যরা এবং স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের মনিটরিং অফিসাররা অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

পাঠকের মতামত